কি কেন কিভাবেঅন্যান্য

মোবাইলে ভাইরাস দূর করার জনপ্রিয় ৫টি উপায়

আজকে আমরা জানবো মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায়। কিভাবে মোবাইলে থাকা ভাইরাস দূর করা যায়। বর্তমানে মার্কেটে যেই মোবাইল বা স্মার্টফোন পাওয়া যায় সেগুলোর বেশিরভাগ ফোনেই আধুনিক প্রযুক্তি যোগ করা হয় তাই মোবাইলে ভাইরাস এটাক করার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

বেশিরভাগ সময়ে এই কথাটি কম্পিউটার বা পিসির জন্য প্রযোজ্য হয়। কারন আমরা সবাই জানি কম্পিউটারেই সবথেকে বেশি ভাইরাস এটাক করে। কিন্তু ইংরেজিতে একটা কথা প্রচলিত আছে ” No system is safe” । আপনি কম্পিউটার বলেন আর মোবাইল বলেন দুটোই প্রযুক্তির অবদান।আর প্রযুক্তির যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি অপকারিতা রয়েছে।

আজকে আমরা এই আর্টিকেলে মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায় নিয়ে কথা বলবো। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক,

ভাইরাস কি (What is virus)

সাধারনভাবে ভাইরাস বলতে কিছু প্রোগ্রাম এর সমষ্টিকে বোঝায় যেগুলো  কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে তৈরি করা হয় এবং এটার কাজ হচ্ছে যেকোনো প্রযুক্তির ডিভাইসকে একটি নির্দেশিত পথে চলতে বাধ্য করা।

কোনো ডিভাইসে যদি ভাইরাস এটাক করে তাহলে সেই ডিভাইসটি আর নিজের আয়ত্তে বা কন্ট্রোলে থাকে না। এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হয় সেটা আমরা এখন বিস্তারিত জানবো।

ভাইরাস এটাক করলে কি ক্ষতি হয়

কোনো ডিভাইসে যদি ভাইরাস এটাক করে হতে পারে সেটা কোনো কম্পিউটার বা স্মার্টফোন তাহলে সর্বপ্রথম যেই লক্ষনটা দেখা যায় সেটি হচ্ছে সেই ডিভাইসটি অনেক স্লো হয়ে যায়। পূর্বে যেরকম পারফরমেন্স দিতো সেরকম পারফরমেন্স দিবে না। যেকোনো এপ্লিকেশন ওপেন করলে অনেক সময় নিবে।

মোবাইলে ভাইরাস এটাক করলে সেই মোবাইলটা প্রচুর হেঙ্ক করবে। যেকোনো গেমস বা এপ্লিকেশন ওপেন করলে সেটা ওপেন হতে স্বাভাবিক সময়ের থেকে অনেক বেশি সময় নিবে।

মোবাইল বা কম্পিউটারে ভাইরাস এটাক করলে যে সমস্যাটি সবথেকে বেশি ক্ষতির কারন হয় সেটি হচ্ছে মোবাইলে থাকা তথ্য চুরি হয়ে যায়। নিজের মোবাইলে বা কম্পিউটারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাক হয়ে যায় যাকে আমরা হ্যাকিং নামে চিনি।

তথ্য হ্যাক হলে সেই তথ্যগুলো লক হয়ে যায়। ফলে সেগুলো আর পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয় না। ফিরিয়ে আনতে হলে কিছু পরিমান ডলার দিতে হয়।

মোবাইলে ভাইরাস এটাক হলে আরো একটি যে সমস্যা হয় সেটি হলো ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। কিছুক্ষণ ব্যবহার করলেই স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক গরম হয়ে যায়।

মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের চার্জের অস্বাভাবিক লক্ষন দেখা যায়। অতি দ্রুত চার্জ ক্ষয় হয় আবার দ্রুত চার্জ হয়ে যায়।

এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হয় মোবাইলে ভাইরাস আক্রান্ত হলে। আসলে যে এটার মুখোমুখি হয়েছে সেই একমাত্র জানে মোবাইলে বা কম্পিউটারে ভাইরাস এটাক করলে কি ক্ষতি হয়।

মোবাইলে ভাইরাস

মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায়

উপায়-১ঃ মোবাইলে ভাইরাস দূর করার প্রথম উপায় হচ্ছে আপনার মোবাইল ফোনে অ্যান্টিভাইরাস এপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে।

বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরে প্রচুর অ্যান্টিভাইরাস এপ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে মোবাইলে থাকা কোনোরকম ভাইরাস বা ক্ষতিকর যেকোনো ফাইল, ফোল্ডার, এপ্লিকেশন দূর করা যায়।

আরো পড়ুনঃ

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে এটা করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হয়
  2. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ফ্রিলান্সিং করা যায়
  3. ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট কিভাবে ফ্রিতে শেখা যায়
  4. ওয়েবসাইট তৈরি করে কিভাবে ইনকাম করতে হয়

মোবাইলে ভাইরাস দূর করার সবথেকে জনপ্রিয় দুটি এপ্লিকেশন হচ্ছে Bitdefender, Avast। এছাড়াও আরো কিছু এপ্স রয়েছে মোবাইলের মুক্ত করার এপ্স।

মোবাইলের ভাইরাস ডিলেট করা সফটওয়্যার

মোবাইলের ভাইরাস ডিলেট করা সফটওয়্যারগুলো হচ্ছেঃ

  1. AVG AntiVirus & Security

  2. Avast Antivirus & Security

  3. ESET Mobile Security & Antivirus

  4. Bitdefender Mobile Security & Antivirus

  5. Norton 360: Mobile Security

এই দুটি গুগল প্লে এপ্স বা বাকি এপ্সগুলো থেকে যেকোনো একটি আপনি নিজের মোবাইল ফোনে ইন্সটল দিয়ে রাখবেন। তাহলে যখন আপনার মোবাইলে কোনো ধরনের ভাইরাস জনিত কোনো লক্ষন দেখা দিবে তখনি এই দুইটি এপ্স আপনাকে অটোমেটিক জানিয়ে দিবে।

উপায়-২ঃ যেকোনো এপ ইন্সটল দেয়ার আগে চিন্তাভাবনা করে এপ পারমিশন দিতে হবে।

গুগল প্লে স্টোর থেকে যখন কোনো এপ ইন্সটল করা হয় তখন এপ ডেসক্রিপশনে সকল পারমিশন উল্লেখ করা থাকে।  যেগুলোর মধ্যে অনেক সময় দেখা যায় এমন কিছুর পারমিশন এপটি চায় যেটা আসলে প্রয়োজন নেই। যেমন গেমস খেলার এপ যদি ক্যামেরার পারমিশন চায় তাহলে সেটা অস্বাভাবিক। তাই এগুলো একটু খেয়ার রাখতে হবে।

উপায়-৩ঃ ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করার সময় এপস ডাউনলোড করতে বললে সেটা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করলে দেখা যায় ওয়েবসাইটের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দেয়া আছে। সেগুলোতে ক্লিক করলে মাঝেমধ্যে নানান ধরনের এপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে বলে। ওগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ সময় ভাইরাস থাকে। তাই সেই এপ্লিকেশন গুলো ডাউনলোড থেকে বিরত থাকতে হবে।

উপায়-৪ঃ কোনো এপ্লিকেশন এডমিনিসট্রেসন পারমিশন চাইলে সেটা ব্যবহার করা যাবে না।

গুগল প্লে স্টোর থেকে এপ বা গেমস ইন্সটল করার পর সেটি যদি এডমিনিসট্রেসন পারমিশন চায় তাহলে দেয়া যাবে না। কারন এই পারমিশন দিলে মোবাইলের পুরো কন্ট্রোল সেই এপটির হাতে চলে যাবে।

উপায়-৫ঃ সবসময় ট্রাস্টেড ওয়েবসাইট এবং গুগল প্লে স্টোর থেকে যেকোনো এপ্স বা গেমস ডাউনলোড করতে হবে।

তো এই ছিলো, মোবাইলে ভাইরাস দূর করার উপায় এবং সাথে কিছু ক্ষতিকর দিক। আশা করছি এখন আপনি নিজের মোবাইল ফোনটি ভাইরাস থেকে মুক্ত করতে পারবেন। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।

Shahab Uddin Chowdhury

I am Sajid Imon, Professional Web Designer and WordPress developer.

Don`t copy text!