এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখে অনলাইনে ইনকাম করতে হয়
বর্তমান এই অনলাইন জগতে ইনকামের যত পথ রয়েছে তার মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং অধিক জনপ্রিয়। যেকেউ যেকোনো জায়গা থেকে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারে। তবে এর জন্য কিছু বিষয় ভালোভাবে শিখতে হবে। তাই আজকের এই পর্বে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায় ইত্যাদি নানান প্রশ্নের উত্তর আজ আমরা এই পর্বে জানবো।
তো চলুন শুরু করা যাক,
এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
প্রথমেই আমরা জানবো, এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি রেফারেল সিস্টেম যেখানে তিনটি পক্ষ থাকে। এক পক্ষ হচ্ছে মালিক, আরেক পক্ষ হচ্ছে এফিলিয়েট পার্টনার এবং সর্বশেষ পক্ষ হচ্ছে কাস্টমার। এফিলিয়েট পার্টনার মালিকের হয়ে যেকোনো পণ্য প্রচার-প্রচারনা করে এবং সেই এফিলিয়েট পার্টনারের প্রচারের মাধ্যমে যদি কোনো কাস্টমার পণ্য কিনে তাহলে এফিলিয়েট পার্টনার কিছু কমিশন পাবে।
যেমন ধরুন, কোনো একটি কোম্পানি তাদের কিছু প্রোডাক্ট অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে চাচ্ছে। সেই প্রোডাক্ট তারা আগে নিজেরা বিক্রি করতো। এখন চাচ্ছে অন্য কাউকে দিয়ে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে এবং শর্ত দিয়ে দিলো প্রতিটা প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য লাভের ৫% বা ১০% কমিশন দিবে যে তাদের হয়ে এই প্রোডাক্ট বিক্রি করবে। এখন মনে করেন, আপনি সেই প্রোডাক্ট নিলেন এবং নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করে দিলেন। যখনই একটি প্রোডাক্ট আপনার দ্বারা বিক্রি হয়ে গেলো, সাথে সাথে আপনি শর্ত অনুযায়ী প্রোডাক্টের লাভের ৫% থেকে ১০% কমিশন পেয়ে গেলেন। যত বেশি বিক্রি করতে পারবেন, তত বেশি ইনকাম হতেই থাকবে। আর একেই ইন্টারনেটের ভাষায় বলে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এটা তো জেনে গেলাম। এখন এই এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শেখা শুরু করতে হয় এটাই আমরা বিস্তারিত জানবো।
বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারিদের সংখ্যা এতই বেড়ে চলছে যে, বড় বড় কোম্পানির এখন তাদের বেশির ভাগ কাজকর্মই ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে উঠেছে। পণ্য বিক্রি করার জন্য এখন কেউ শুধু অফলাইনের উপর নির্ভর করে থাকে না। নিজেদের একটি ওয়েবসাইট খুলে অনলাইনে কাস্টমারদের কাছে পণ্য বিক্রি করতেছে। ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে নিজেদের পণ্য প্রচার প্রচারনা করতে পারতেছে। আর এই থেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্ম হয়েছে। এখন শুধু কোম্পানি নিজেই পণ্য বিক্রি করে না, নিজেরা বিক্রি করার সাথে সাথে অনলাইনে এফিলিয়েট পার্টনার নিয়োগ দিচ্ছে। সেই পার্টনাররা কোম্পানির হয়ে তাদের প্রোডাক্ট কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। বিনিময়ে তারা বিক্রি করার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা কমিশন হিসেবে ইনকাম করছে।
তাই আপনিও যদি এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ৩টি বিষয় শিখতে হবে।
- ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( এসইও )
- কন্টেন্ট রাইটিং এবং মার্কেটিং
এই তিনটি বিষয় আপনাকে ভালো করে আগে শিখতে হবে। তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে, কোথা থেকে এগুলো শেখা যায়। এখন এটা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১।ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টঃ
এফিলিয়েট মার্কেটিং দুইভাবে করা যায়। একটি হচ্ছে ইউটিউবের মাধ্যমে। আরেকটি হচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। ইউটিউবের মাধ্যমে যদি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে আপনাকে প্রথমেই একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। এরপর প্রোডাক্ট প্রচার প্রচারনা করার জন্য সেই প্রোডাক্টের উপর ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। তবে এর জন্য অবশ্যই ভিডিও এডিটিং কিভাবে করতে হয় এটা আগে শিখতে হবে।
পড়তে পারেনঃ
আর যদি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং না করতে চান তাহলে ওয়েবসাইট দিয়ে শুরু করতে পারেন। বেশিরভাগ এফিলিয়েট মার্কেটাররা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে। ওয়েবসাইট দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আগে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট জানতে হবে। তবে এখানে এডভান্স কোডিং শেখার প্রয়োজন নেই। বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট বিল্ডার সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই কোডিং জ্ঞান ছাড়াই একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায় যেমন, ওয়ার্ডপ্রেস। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েই আপনি চাইলে একটি প্রফেশনাল এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডাউনলোড করে নিন
- এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলা বই ডাউনলোড করে নিন
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে এরপর নিজের মতো করে সাইটটি ডিজাইন করতে হবে। তবে এখানে একটি কথা আছে সেটি হচ্ছে, আপনি যদি নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন তাহলে ভালো। আর নাহলে কোনো ওয়েব ডেভেলপারের সহায়তা নিতে হবে আপনাকে।
২।সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( এসইও )
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করার পর এখন আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শিখতে হবে। যাকে সংক্ষেপে এসইও বলা হয়। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর যখন বিভিন্ন কন্টেন্ট পাব্লিশ করা হবে তখন যাতে সেই কন্টেন্ট গুগলে সার্চ করলে প্রথম পেজে চলে আসে তার জন্য এই এসইও করতে হয়। একটি কিওয়ার্ডকে ধরে পুরো কন্টেন্টকে অপ্তিমাইজ করে ফেলা যাতে গুগল বুঝতে পারে সেই কন্টেন্ট টি আসলে কি নিয়ে। তাহলে যখন কেউ গুগলে সেই কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিবে তখন গুগল আপনার সেই অপ্তিমাইজ করা কন্টেন্টকে প্রথম পেজে নিয়ে আসবে। আর যদি প্রথম পেজে চলে আসে তাহলে অনেক ভিজিটর পাওয়া যাবে গুগল থেকে।
অনলাইনে কেউ কোনো পণ্য কিনতে চাইলে প্রথমেই সেই প্রোডাক্ট নিয়ে গুগলে সার্চ দেয়। এবং প্রায় ৯৯% মানুষ গুগলের প্রথম পেজে যেই ওয়েবসাইটগুলো আসে সেখানেই ক্লিক করে। আর তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এসইও সেক্টরে আপনাকে যা যা শিখতে হবে সেগুলো হচ্ছে অন পেজ এসইও, অফ পেজ এসইও এবং লিঙ্ক বিল্ডিং। গুগলে হাজারো ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে এই এসইও শিখতে পারেন। এছাড়াও ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল আছে এসইও নিয়ে। সেগুলো দেখেও একটি ধারনা নিতে পারেন। আর যদি সেটাও না পারেন তাহলে কোনো প্রিমিয়াম কোর্স করতে পারেন এসইও এর উপর।
৩।কন্টেন্ট রাইটিং এবং মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে কন্টেন্ট সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কথায় আছে “কন্টেন্ট ইজ কিং“। আপনার এসইও তখনই কাজ করবে যখন আপনার কন্টেন্ট এর মান ভালো হবে। কন্টেন্ট যদি ভালো না হয় তাহলে কখনই গুগল ওয়েবসাইটকে রেঙ্ক দিবে না। আবার যদি কপি করা কন্টেন্ট থাকে তাহলে সেই ওয়েবসাইটকে গুগল কপিরাইট ধরে এবং পেনাল্টি দিয়ে দেয়। তাই অবশ্যই ওয়েবসাইটে মানসম্মত কন্টেন্ট দিতে হবে। পৃথিবীতে যত এফিলিয়েট মার্কেটার আছে সবাই কন্টেন্ট এর উপর বেশি মনোযোগ দেয় এবং সাথে সময়, খরচ দুটোই বেশি দিয়ে থাকে।
তাই আপনি যদি নিজে কন্টেন্ট লিখতে পারেন তাহলে আপনার সময় এবং খরচ দুটোই কমে যাবে। তবে অবশ্যই মানসম্মত কন্টেন্ট হতে হবে। যারা প্রফেশনাল কন্টেন্ট রাইটার আছে তাদের কন্টেন্ট লেখার মান দেখে শিখতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার এসইও যদি একটু দুর্বলও হয় তারপরেও ওয়েবসাইট গুগলে দ্রুত রেঙ্ক করবে যদি কন্টেন্ট এর মান ভালো থাকে। তাই সবচেয়ে বেশি কন্টেন্ট এর দিকে সময় দিবেন এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং করবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে
এফিলিয়েট মার্কেটিং শেখা কিভাবে শুরু করতে হয় বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কি কি শেখা লাগে এটাতো আমরা জেনেই গেলাম। এখন নতুনদের মধ্যে অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন যে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে বা কত খরচ হয়? এই সম্পর্কেই এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো।
এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অনলাইন ভিত্তিক বিজনেস। একটি বিজনেস করতে গেলে যেমন টাকার প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরেও কাজ করার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়।
একটি সফল এফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস শুরু করার জন্য প্রাথমিকভাবে ৪টি জিনিসের উপর টাকা খরচ হয়
- ডোমেইন এবং হোস্টিং
- এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ব্যাকলিঙ্ক বিল্ডিং।
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি প্রফেশনাল এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে প্রথমে ডোমেইন বাবদ আপনার খরচ হবে ৬০০-৮০০ টাকা। এবং হোস্টিং বাবদ খরচ হবে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। তবে এটা ফিক্স না, কম বেশি হতে পারে। পুরোটাই হোস্টিং কোম্পানির উপর নির্ভর করে। এরপর ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি থিম বাছাই করতে হবে। ফ্রি থিম হলে টাকা খরচ হবে না। আর যদি প্রিমিয়াম থিম হয় তাহলে সেই থিম বাবদ ৫৫০০ টাকা খরচ হবে। তারপর ওয়েবসাইটটি তৈরি করার জন্য ডেভেলপার বাবদ ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হবে।
এরপর ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাব্লিশ করার জন্য আপনি নিজে লিখতে পারেন। তাহলে অনেক খরচ কমে যাবে। সাধারণত এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সবথেকে বেশি খরচ হয় এই কন্টেন্ট এর উপর। প্রতিটা কন্টেন্ট লেখার জন্য রাইটারকে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা দিতে হয়। তাই বেশি খরচ হয়।
এবং সর্বশেষ হচ্ছে ব্যাকলিঙ্ক বিল্ডিং এর খরচ। একটি ওয়েবসাইটকে গুগলে রেঙ্ক করার জন্য ব্যাকলিঙ্কের গুরুত্ব অপরিসীম। যত বেশি ব্যাকলিঙ্ক হবে, তত বেশি ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুগলে রেঙ্ক করবে। আর এই কারনেই প্রতিটা মার্কেটার ব্যাকলিংকের জন্য অনেক পরিশ্রম করে। কন্টেন্ট এর মতো প্রতিটা ব্যাকলিংকের জন্য এভারেজে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা খরচ হয়।
সুতরাং পরিশেষে বলা যায়, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যদি একটি প্রফেশনাল এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন তাহলে ১০/১২ হাজার টাকা লাগবে প্রাথমিকভাবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করতে হয়, এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়গুলো তো আমরা জানলাম। এখন এই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায় বা একজন এফিলিয়েট মার্কেটার কিভাবে আয় করে এই বিষয়টা আমাদের জানতে হবে। কারন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করবেন কিন্তু এই সেক্টরে কিভাবে আয় হয় বা কিভাবে আয় করা যায় এই বিষয়টা যদি আপনার ক্লিয়ার না থাকে তাহলে কিন্তু এই সেক্টর নিয়ে আপনার বেশিদিন আগ্রহ থাকবে না। তাই আমরা এখন জানবো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়।
একজন প্রফেশনাল এফিলিয়েট মার্কেটার কয়েকভাবে আয় করে। যেমন, ওয়েবসাইটের এসইও করে, ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রোডাক্টের এফিলিয়েট করে, ভিজিটরদের বিভিন্ন এড দেখিয়ে যেমন গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে, এছাড়াও অন্য কারো প্রোডাক্ট প্রমোট করার পাশাপাশি নিজের পণ্য ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের অফার করে ইনকাম করে। তাই আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে ইনকামের অনেক পথ তৈরি হয়ে যাবে। আপনাকে শুধু এফিলিয়েট ইনকামের উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না।
যাইহোক, এই ছিল এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে পরিপূর্ণ একটি গাইডলাইন। আশা করি এখন আপনি বুঝতে পেরেছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, এই সেক্টরে কাজ করে কিভাবে আয় করা যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা হয়েছে। তারপরেও যদি কোনো প্রশ্ন থাকে আপনার, তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।