প্রশ্নোত্তর পর্বআপনি কি জানেন?

বেগ কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি চিত্রসহ বর্ণনা

আপনি কি জানেন বেগ কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি? তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য।কারন আজকের এই পর্বে আমি বেগ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো।

আজকের এই পর্বে জানতে পারবেন বেগ কাকে বলে চিত্রসহ বর্ণনা, তাৎক্ষণিক বেগ কাকে বলে, গড় বেগ কাকে বলে, সুষম বেগ কাকে বলে, আপেক্ষিক বেগ কাকে বলে, মুক্তি বেগ কাকে বলে, কৌণিক বেগ কাকে বলে, অসম বেগ কাকে বলে, বিচলন বেগ কাকে বলে ইত্যাদি।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক,

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষায় বেগ কাকে বলে, বেগ কত প্রকার, আপেক্ষিক বেগ ইত্যাদি নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন আসে। তাই আজকের এই পর্বে বেগ নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বেগ কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি চিত্রসহ বর্ণনা

বেগ কাকে বলে

বেগ শব্দটির ইংরেজি অর্থ হচ্ছে Velocity

বেগ (Velocity) হলো সময়ের সাপেক্ষে কোন বস্তুর সরনের হার। একক সময়ে কোনাে বস্তু নির্দিষ্ট দিকে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বস্তুটির বেগ বলে ।

যেমন, যদি 10 সেকেন্ডে কোনো বস্তুর সরণ হয় 10 মিটার তাহলে বেগ = দুরত্ব/সময় = 10/10=1ms^-1।

সুতরাং সরণ = বেগ x সময়।

উইকিপিডিয়া অনুসারে, বেগ সাধারণত ৬ প্রকারের হয়ে থাকে। যথা, তাৎক্ষণিক বেগ বা বেগ, সমবেগ বা সুষম বেগ, অসম বেগ, মধ্য বেগ, প্রকৃত বেগ, আপেক্ষিক বেগ।

বেগের মাত্রা হবে দুরত্ব/সময় এর মাত্রা। আর আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে বেগের একক হল মিটার/সেকেন্ড ।

তাৎক্ষণিক বেগ কাকে বলে

তাৎক্ষণিক বেগ বা impulse হল খুব কম সময়ের জন্যে খুব কম জায়গায় যে বল প্রযুক্ত হয়। সময় ব্যবধান শূন্যের কাছাকাছি হলে সময়ের সাথে বস্তুর সরণের হারকে বেগ বা তাৎক্ষণিক বেগ বলে।

তাৎক্ষণিক বেগকে ভরবেগের মত মনে হলে ও ফিজিক্যাল প্রপার্টি অনুযায়ী বেশ খানিকটা আলাদা।

গড় বেগ কাকে বলে

গড় বেগ হচ্ছে সময়ের সাথে সরণের পরিবর্তনের গড় হার।কোনো একটি বস্তুর আদি অবস্থান এবং শেষ অবস্থানের মধ্যবর্তী সরলরৈখিক দূরত্ব অর্থাৎ সরণকে মোট সময় দ্বারা ভাগ দিলে যা পাওয়া যায় তাকে গড়বেগ বলে। অর্থাৎ গড় বেগ = সরণ ÷ সময়।

অর্থাৎ, কোনো বস্তুর আদিবেগ ও শেষবেগ এর গড়কে বস্তুটির গড় বেগ বলে।

একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার সময় সবসময় একই বেগে চলা সম্ভব হয় না।এই কারনেই গড় বেগ নির্নয় করার প্রয়োজন পড়ে।

সুষম বেগ কাকে বলে

বেগ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে পরিবর্তনশীল বা সুষম বেগ, অন্যটি হচ্ছে অপরিবর্তনশীল বা অসম বেগ

বেগের মান যদি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় স্থির থেকে বস্তুটি যদি একটি নির্দিষ্ট বেগে চলে তাকে সুষম বেগ বলে।

গতিশীল কোনো বস্তুর বেগের মান ও দিক অপরিবর্তিত থাকলে তাকে সুষম বেগ বলে

আপেক্ষিক বেগ কাকে বলে

আপেক্ষিক বেগের ইংরেজি হচ্ছে Relative velocity।

মহাবিশ্বের কোনো বস্তুই স্থির নয়। অর্থাৎ সকল বস্তুই তার নিজ অবস্থান ও দিকের পরিবর্তন করে।

কোনো বস্তুকে আমরা যখন স্থির বলে বিবেচনা করি, তখন আসলে আমরা ঐ বস্তুর গতি বা অবস্থানকে অন্য একটি বস্তুর গতি বা অবস্থানের সাথে তুলনা করি৷ এই তুলনাকেই সহজ ভাবে আপেক্ষিক গতি হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

অর্থাৎ দুটি গতিশীল বস্তুর একটি তুলনায় অপরটির অবস্থানের পরিবর্তনের হারকে আপেক্ষিক বেগ বলে।

মুক্তি বেগ কাকে বলে

মুক্তি বেগের ইংরেজি হচ্ছে Escape velocity।

মুক্তিবেগ বলতে এমন একটি বেগকে বুঝানো হয় মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে যে মানের বেগে নিক্ষিপ্ত কোন বস্তুর গতিশক্তি ও মহাকর্ষীয় বিভবশক্তির সমষ্টি শুন্য হয়।

সর্বাপেক্ষা কম যে বল প্রয়োগ করে কোনো বস্তুকে ভূ-পৃষ্ট থেকে উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না তাকে মুক্তি বেগ বলে।

আরো সহজভাষায়, কোনো বস্তুকে উপরের দিকে ছোঁড়া হলে অভিকর্ষের টানে বস্তুটি আবার ভূ-পৃষ্ঠে ফিরে আসে। কিন্তু মুক্তি বেগ এমন একটি বেগ যেখানে বস্তুটিকে উপরের দিকে ছোঁড়ার পরে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসবে না।

আরো পড়ুনঃ

  1. আধুনিক কম্পিউটারের জনক কে
  2. বাংলাদেশের আয়তন কত
  3. আধুনিক ইতিহাসের জনক কে
  4. পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে

মানে হচ্ছে, সর্বনিম্ন যে বেগে কোন বস্তু উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসবে না সে বেগকে মুক্তিবেগ বলা হয় ।

সমীকরন দ্বারা মুক্তিবেগের মান নির্ণয়ের সুত্রঃ

এখানে v মুক্তিবেগ, G হল মহাকর্ষীয় ধ্রুবক (G = ৬.৬৭×১০−১১), M তারা, গ্রহ বা অন্য যেকোন বস্তুর ভর এবং r এর ব্যাসার্ধ।

বেগ কাকে বলে

কৌণিক বেগ কাকে বলে

কৌণিক বেগের ইংরেজি হচ্ছে Angular velocity। এটি একটি ভেক্টর রাশি। এস.আই. পদ্ধতিতে কৌণিক বেগ পরিমাপের একক হলো রেডিয়ান প্রতি সেকেন্ড।

কৌণিক বেগ (ইংরেজি: Angular velocity ) বলতে সময়ের সাথে বস্তুর অবস্থানের ফলে ভেক্টরের পরিবর্তনের হারকে বোঝায়।

কোনো অক্ষের চতুর্দিকে ঘূর্ণায়মান কোনো বস্তু বা বিন্দু প্রতি একক সময়ে যে পরিমান কৌণিক দুরত্ব অতিক্রম করে তাকে কৌণিক বেগ বলা হয়।

অসম বেগ কাকে বলে

আমরা আগেই জেনেছি, বেগ সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে পরিবর্তনশীল বা সুষম বেগ, অন্যটি হচ্ছে অপরিবর্তনশীল বা অসম বেগ

অসম বেগ হচ্ছে বেগের মান যদি একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় স্থির না থেকে কখনও কম আর কখনও বেশি হয় তবে তাকে বলে অসম বেগ।

কোনো বস্তুর যদি গতিকালে তার বেগের মান বা দিক বা উভয়ের পরিবর্তন ঘটে তাহলে বস্তুর সেই বেগকে অসম বেগ বলে।

প্রান্তিক বেগ কাকে বলে

প্রান্তিক বেগের ইংরেজি হচ্ছে Terminal velocity।

অভিকর্ষের প্রভাবে কোনো প্রবাহীর মধ্য দিয়ে গতিশীল কোনো বস্তু সর্বোচ্চ যে বেগে উপনীত হলে নিট বল শূন্য হয় এবং বস্তুটি সমবেগে চলতে থাকে, সে বেগকে প্রান্তিক বেগ বলে।

মধ্য বেগ কাকে বলে

মধ্য বেগের ইংরেজি হচ্ছে mean velocity।

মধ্যবেগ হচ্ছে কোনো একটি গতিশীল বস্তুর আদিবেগ ও শেষবেগের অভিমুখের যোগফলের অর্ধেক।

কোন একটি গতিশীল বস্তুর প্রথম এবং শেষ বেগ এর অভিমুখ একই হলে তাদের যোগফলের অর্ধেক কে মধ্যবেগ বলে।যেমন, কোন নির্দিষ্ট দিকে একটি বস্তুর আদিবেগ u এবং শেষ বেগ v। অতএব মধ্যবেগ,তো এই ছিলো, বেগ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্নের উত্তর।

যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।

Shahab Uddin Chowdhury

I am Sajid Imon, Professional Web Designer and WordPress developer.

Don`t copy text!