বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি
আপনি কি জানেন বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি? তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য।কারন আজকের এই পর্বে আমি বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো।
আজকের এই পর্ব থেকে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক কয়টি, বাংলাদেশের বিশেষায়িত ব্যাংক কয়টি ও কি কি, বাংলাদেশে মোট ব্যাংক কয়টি ২০২২, বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ব্যাংক কোনটি, বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কাকে বলে।
এছাড়াও জানতে পারবেন বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংক কয়টি ২০২২, বাংলাদেশে কোন কোন সরকারি ব্যাংক আছে?, DBBL কি সরকারি ব্যাংক?, বাংলাদেশে মোট কয়টি সরকারী ব্যাংক আছে ইত্যাদি।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক,
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষায় বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন আসে। তাই আজকের এই পর্বে সেই সরকারি ব্যাংকগুলো নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বাংলাদেশে মোট ব্যাংক কয়টি ২০২২
বাংলাদেশের সকল ব্যাংকসমূহকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে তালিকাভুক্ত এবং অপরটি হচ্ছে অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক।
বাংলাদেশে মোট তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা মোট ৬১টি।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক বা সরকারি ব্যাংক যেগুলো সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে পরিচালিত হয়, ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি ব্যাংক।
অন্যদিকে, অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা মোট ৫টি।
তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত ব্যাংক অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ব্যাংক রয়েছে ৬৬টি।
বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি
অনেকেই জানতে চায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কাকে বলে, বাংলাদেশে কোন কোন সরকারি ব্যাংক আছে বা বাংলাদেশে মোট কয়টি সরকারী ব্যাংক আছে এবং সেগুলো কি কি? তাই আজকে আমরা বিস্তারিত জানবো।
বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্তে যেসকল ব্যাংকগুলো পরিচালিত হয় সেগুলোকে সরকারি ব্যাংক বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বলে।
বাংলাদেশে তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের মধ্যে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে যেগুলো সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে পরিচালিত হয়। তাই ওগুলোকে সরকারি ব্যাংক বলা হয়।
বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংক রয়েছে ৬টি। যথাঃ
- সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
- রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
- জনতা ব্যাংক লিমিটেড
- বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড
এখন চলুন জেনে নেই সরকারি ব্যাংকগুলোর প্রতিষ্ঠাকাল এবং কোথায় কয়টি শাখা রয়েছে?
১। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭২ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ১২২৭ টি।
২। রূপালী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭২ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৫৮৩ টি।
৩। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭২ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৯৬০ টি।
৪। জনতা ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৭২ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৯১৭ টি।
৫। বেসিক ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৮ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৭২ টি।
৬। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৯ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৪৬ টি।
এই ছিলো বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি এবং সেগুলোর শাখা ও প্রতিষ্ঠাকাল। আপনি যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে উইকিপিডিতে খোজ করতে পারেন।
বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ব্যাংক কোনটি
বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ব্যাংক হচ্ছে পূবালী ব্যাংক লিমিটে। এটি বাংলাদেশের স্বায়ত্বশাসিত ৪৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক। এটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৫৯ সালে।
২০২০ সালের ডাটা অনুযায়ী পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর বর্তমানে শাখার সংখ্যা ৪৮২ টি। বিস্তর শাখা ও কর্মকাণ্ডের জন্য এই ব্যাংককে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক বলা হয়।
অন্যদিকে, বিশ্বের প্রথম সরকারি ব্যাংক হচ্ছে ব্যাংক অফ ভেনিস যেটা ১১৫৭ সালে ইটালিতে প্রতিষ্ঠা হয়।
বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক কয়টি
ইসলামী ব্যাংক বলতে সেই সকল ব্যাংকসমূহকে বোঝায় যেগুলো ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
৪৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মধ্যে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক রয়েছে ১০টি। যথাঃ
- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
- আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
- ফাস্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
- ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড
- স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড
- গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
এখন চলুন জেনে নেই বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রতিষ্ঠাকাল এবং কোথায় কয়টি শাখা রয়েছে?
১। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৩ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৪৫০ টি।
২। আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৭ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৩৩ টি।
৩। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৫ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ১৮০ টি।
৪। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৫ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ১৬৮ টি।
৫। এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৯ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ১৩১ টি।
৬। ফাস্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠাহয় ১৯৯৯ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ১৮৪ টি।
৭। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ২০০১ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ১৩৪ টি।
৮। ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৩ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৯০ টি।
৯। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৯ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ১৩৮ টি।
১০। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৩ সালে এবং এই ব্যাংকের শাখা রয়েছে মোট ৬৯ টি।
এই ছিলো বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক কয়টি ও কি কি এবং সেগুলোর শাখা ও প্রতিষ্ঠাকাল। আপনি যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে উইকিপিডিতে খোজ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
বাংলাদেশের বিশেষায়িত ব্যাংক কয়টি ও কি কি
বিশেষায়িত ব্যাংক বলতে সেই ব্যাংকগুলোকে বোঝায় যেগুলো বিশেষ কোনো খাতের উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ব্যাংকগুলো সরকারি মালিকানাধীন হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে যেগুলোর মালিকানা, রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা ইত্যাদি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। যথাঃ
- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংক কয়টি ২০২২
তফসিলি বা তফসিলভুক্ত ব্যাংক বলতে যে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী তালিকাভুক্ত হয় সেগুলোকে তফসিলভুক্ত ব্যাংক বলা হয়।
বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংক রয়েছে ৬৪টি।
তো এই ছিলো, বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক কয়টি, বাংলাদেশের বিশেষায়িত ব্যাংক কয়টি ও কি কি, বাংলাদেশে মোট ব্যাংক কয়টি ২০২২, বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ব্যাংক কোনটি, বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংক কয়টি কি কি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কাকে বলে, বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংক কয়টি ২০২২, বাংলাদেশে কোন কোন সরকারি ব্যাংক আছে?, DBBL কি সরকারি ব্যাংক?, বাংলাদেশে মোট কয়টি সরকারী ব্যাংক আছে? ইত্যাদি নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্নের উত্তর।
যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।
Comments are closed.