পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে? পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ
আপনি কি জানতে চান পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে? তাহলে আজকের পর্বটি আপনার জন্য। কারন আজকের এই পর্বে আমরা আলোচনা করবো পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে ছিলেন(prithibir sobcheye valo manush ke), পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ কে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক,
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ কে(prithibir sobcheye valo manush ke)
পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ একমাত্র তিনিই হতে পারেন যার মধ্যে ভালো মানুষ হওয়ার সব ধরনের গুন রয়েছে। তিনি আর কেউ নন, মুসলিম বিশ্বের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)।
শুধু যে মুসলমানদের মধ্যে তাকে শ্রেষ্ঠ মানুষ বলা হয় এমনটি নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর লোকেরা যারা তাঁর সম্পর্কে জানে তাঁরাও তাঁকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে মানে।
পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানুষ কে
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ হলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি পৃথিবীর সর্বোকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব।গুনে, আচার-আচরনে, চরিত্রে তিনি ছিলেন ফুলের মতো পবিত্র।
এই কারনেই লন্ডন মিউজিয়ামে বিশ্বের সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) কে আখ্যায়িত করা হয়েছে
“the best man in the world as a man, as Muslim, as a leader, as an emperor”
মুহাম্মাদ (সাঃ) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। প্রচলিত ধারণা মতে, তিনি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট বা আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ জন্মগ্রহণ করেন।
নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দয়া আর ক্ষমার কো তুলনা নেই । তার ন্যায়বিচার সকল শাশকের জন্য আদর্শ ছিলো এবং থাকবে। তিনি সর্বাধিনায়ক হওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত সাধারণভাবে জীবন যাপন করতেন। উনার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান না থাকা শর্তেও তিনি ছিলেন সবচেয়ে প্রজ্ঞাময়।
বর্তমানে দেশ বিদেশের বড় বড় বিজ্ঞানীরা আজ যা আবিস্কার করছে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ মহানবী (সাঃ) ১৪০০ বছর আগে তা বলে গেছেন।
উনার সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা মুশকিল। আপনি যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান এই বিষয়ে তাহলে উইকিপিডিয়াতে দেখতে পারেন।
পৃথিবীর আদর্শ মানব কে
পৃথিবীর আদর্শ মানব, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ, এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ যেটাই বলেন না কেন উত্তর হবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে অমুসলিমদের বিভিন্ন উক্তি
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে জর্জ বার্নার্ড ‘শ এর কালজয়ী উক্তিঃ-
“তিনি যদি আধুনিক পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করতেন, তাহলে তিনি অবশ্যই সকল সমস্যার সমাধান করতে সফল হতেন। সেই সাথে আসতো পৃথিবীর জন্য অতি জরুরী সুখ-শান্তি।” (সুত্রঃ ইন্টারনেট)
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া যোসেফ লিওনার্দ গোল্ডস্টেইন বলেছেনঃ-
“পৃথিবীতে বাস করে যদি কোনো মানুষ আল্লাহকে দেখে থাকেন, যদি কোনো মানুষ ভালো ও মহান উদ্দেশ্য নিয়ে আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করে থাকেন, তা হলে এ কথা নিশ্চিত সত্য যে, আরবের নবী মুহাম্মদ সা: সেই ব্যক্তি। মুহাম্মদ সা: যে কেবল সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন তা নয়; বরং এ যাবৎ মানব ইতিহাসের যত মানুষের জন্ম হয়েছে, তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানব একমাত্র তিনি((অনুপম আদর্শ : ৪৫১)।”
ইংরেজ ইতিহাসবিদ এডওয়ার্ড গিবন বলেছেনঃ-
“বস্তুতপক্ষে হজরত মুহাম্মদ সা:-এর আনীত শরিয়ত সর্বলোকের জন্য প্রযোজ্য। এ শরিয়ত এমন বুদ্ধিবৃত্তিক মূলনীতি ও এ ধরনের আইনগত ভিত্তিতে রচিত যে, সমগ্র বিশ্বে এর দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না (মা’আরিফুল কুরআন, খণ্ড-১ পৃ. ১৬৩)।”
আরো পড়ুনঃ
- ৫টি সেরা মোটিভেশনাল বই PDF free download
- ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস বই PDF free download
- প্রতি মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পিডিএফ ডাউনলোড করে নিন
- ওয়েব ডিজাইন শেখার বই পিডিএফ ফ্রি ডাউনলোড
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার বই পিডিএফ ফ্রি ডাউনলোড
স্কটিশ দার্শনিক টমাস কার্লাইল বলেছেনঃ-
“তাঁর (মুহাম্মদ সা:) চিন্তাধারা ছিল অতি পবিত্র এবং চরিত্র ছিল অসম্ভব উন্নত। তিনি ছিলেন কর্মতৎপর সংস্কার, যাঁকে আল্লাহ মানুষকে হেদায়াতের জন্য নিযুক্ত করেছেন। তাঁর বাণী তো আল্লাহরই বাণী। মুহাম্মদ সা: অক্লান্ত প্রচেষ্টার সাথে সত্যের প্রচার করেন। বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে তাঁর অনুসারী আছে। আর এতে সন্দেহ নেই, তাঁর সততাই জয়যুক্ত হয় (আল-মিনহাজুলওয়াজেহ)।”
জি এম রডওয়েল এর মতেঃ-
“বিশ্বস্ত সূত্রে প্রমাণিত যে, মুহাম্মদ সা:-এর যাবতীয় কাজ এই মহৎ প্রেরণায় অনুপ্রাণিত যে, মানবজাতি যেন অজ্ঞতা ও মূর্খতা এবং মূর্তিপূজা থেকে মুক্তি পায়। তাঁর আপ্রাণ চেষ্টা ছিল নিগূঢ় সত্য তথা আল্লাহর একত্বের বহুল প্রচার’ (আয়নায়ে হাকিকতে মূসা)।” (সোর্সঃ নয়াদিগন্ত)
এছাড়াও ইতিহাসে আরো অনেক মহান ব্যক্তি মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি শেয়ার করেছেন যেমন, অ্যাডওয়ার্ড মুদন্ট, ড. গেসটাউলি, টমাস কার্লাইল সহ আরো অনেক ব্যক্তি। এমনকি ভারতের এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও তার সম্পর্কে বিভিন্ন উক্তি শেয়ার করেছেন।
হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর উক্তি বা বানী
পৃথিবীর আদর্শ মানব, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ, এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ যেটাই বলেন না কেন মহানবী (সাঃ) এর উক্তি জানা যাক যাকে ইসলামে হাদিস বলা হয়।
১। বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো, তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা। (সহীহ বুখারী)
২। বলো : ‘আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি ; অতপর এ কথার উপর অটল থাকো। (সহীহ মুসলিম)
৩। পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। (সহীহ মুসলিম)
৪। যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্যে সালাত পড়লো, সে শিরক করলো। (আহমদ)
৫। যখন রমযান শুরু হয়, তখন রহমতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়। (সহীহ বুখারী)
৬। যে জ্ঞানের সন্ধানে বের হয়, সে আল্লাহর পথে বের হয়। (তিরমিযী)
৭। সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। (সহীহ মুসলিম)
৮। যে আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকে অমান্য করলো। (সহীহ বুখারী)
৯। রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফলই পাবে,যা সে নিয়্যত করেছে।[সহীহ বুখারী)
১০। উত্তম চরিত্রের চাইতে বড় মর্যাদা আর নেই।[ইবনে হিব্বান)
এছাড়াও আরো অনেক উক্তি রয়েছে তার যেগুলো মানবজাতির জন্য আলোর দিশারি। আপনি যদি হাদিস পড়েন তাহলে ইসলাম সম্পর্কে আরো অনেক বিষয় জানতে পারবেন বিস্তারিতভাবে।
তো এই ছিলো, পৃথিবীর আদর্শ মানব, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ, এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্নের উত্তর।
যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।