আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে করতে হয় এবং শুরু করার পর কমপ্লিট গাইডলাইন
বর্তমান এই যুগে অনলাইন জগতে সবথেকে পরিচিত একটি নাম হচ্ছে আউটসোর্সিং যাকে আবার অনেকে ফ্রিল্যান্সিং বলে থাকে। কারন এখানে অন্যসব পেশার মতো প্রচুর কাজ করতে হয় না। নিজের ইচ্ছামতো স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় এবং সেই কাজের ইনকামও তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি হয়। আর এই কারনেই বর্তমান যুবকরা এই সেক্টরের দিকে বেশি যূকে পড়ছে। যাইহোক, আজকে আমরা এই আউটসোর্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো এবং সাথে নতুনদের জন্য একটি বই শেয়ার করবো যেখানে আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে করতে হয় এবং শুরু করার পর কিভাবে কি করতে হবে তার কমপ্লিট ধারনা পাওয়া যাবে।
তো চলুন শুরু করা যাক,
আউটসোর্সিং করে কিভাবে ইন্টারনেট থেকে আয় করা যায়
আউটসোর্সিং বলতে বুঝায় ঘরে বসে বাহিরের কোনো কোম্পানির কাজ করে দেয়া। যেকোনো একটি বিষয়ে যদি আপনার স্কিল থাকে তাহলে আপনি নিজেও এই সেক্টরে কাজ করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন এবং কাজ শেখার প্রতি তীব্র আগ্রহ। আপনাকে যেকোনো একটি স্কিলে ভালো পারদর্শী হতে হবে। এই সেক্টরে আপনার স্কিলটাকে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে। যত বেশি স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। তবে প্রথম দিকে ইনকামের চিন্তাটা বাদ দিয়ে কাজ শেখার প্রতি মনযোগী হতে হবে।
আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে শিখতে হয়?
আউটসোর্সিং যেকোনো বিষয় শিখেই করা যায় যেমন, ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, ফটো এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, মাইক্রোসফট এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি। এগুলো থেকে প্রথমে যেকোনো একটি বিষয় আপনাকে খুজে বের করতে হবে যেটা আপনার ভালো লাগে। যেমন ধরে নিলাম আপনার প্রোগ্রামিং ভালো লাগে। তাহলে আপনি এই প্রোগ্রামিং দিয়েই আউটসোর্সিং করতে পারবেন। এখন এই প্রোগ্রামিং শেখার জন্য প্রথমে আপনাকে প্রোগ্রামিং নিয়ে গুগল এবং ইউটিউব থেকে বেসিক ধারনা নিতে হবে। এরপর আরো এডভান্স শেখার জন্য কোনো আইটি প্রতিষ্ঠানে এককালীন কোর্স করতে হবে। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং শেখার জন্য অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখান থেকে আপনি কোর্স করতে পারেন। বাংলাদেশের কিছু ভালো আইটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কোডারস ফাউন্ডেশন, সফট টেক আইটি, ক্রিয়েটিভ আইটি ইত্যাদি।
আউটসোর্সিং বইটি সম্পর্কে কিছু কথা
এখন আমরা একটি আউটসোর্সিং বই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো যেখান থেকে আপনি নতুন হিসেবে এই সেক্টরটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আউটসোর্সিং শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর কিভাবে কি করতে হয় এই সম্পর্কে একটি কমপ্লিট ধারনা পাবেন। বইটি লিখেছেন মো. আমিনুর রহমান যিনি নিজেও এই আউটসোর্সিং পেশার সাথে যুক্ত আছেন। বর্তমানে একজন প্রফেশনাল ওয়েব প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করছেন। আর এই কাজের পাশাপাশি নতুনদের জন্য আউটসোর্সিং বিষয়ে ৩/৪টি বই লিখেছেন যেখানে আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করতে হয় এবং শুরু করার পর কিভাবে কি করতে হবে সেটা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এই বইটি থেকে আপনি আউটসোর্সিং সেক্টর সম্পর্কে একদম বিস্তারিত জানতে পারবেন। আউটসোর্সিং সেক্টরটি কিভাবে কাজ করে, কাজ কোথায় পাওয়া যায়, টাকা কিভাবে ইনকাম করা যায়, বিদেশি বায়ারদের সাথে কিভাবে কাজ করা যায় ইত্যাদি নানান প্রশ্নের উত্তর এই বইটি থেকে পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ
- ফ্রিলান্সিং কি? ফ্রিলান্সাররা কিভাবে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে
- মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিলান্সিং কাজ করা যায়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে লাখ টাকা ইনকাম করা যায়
- একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয়
- লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইন থেকে আয় করার ১২টি জনপ্রিয় অনলাইন জব
আউটসোর্সিং বইটি থেকে কি কি শিখতে পারবেন
যেহেতু বইটি শুধুমাত্র নতুনদের উদ্দেশে লেখা হয়েছে তাই এখানে সবথেকে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে নতুন ফ্রিলান্সারদের কিছু কমন প্রশ্ন এবং সাথে উত্তর। যারা এই সেক্টরে কাজ করে অনলাইনে একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে চায় শুধুমাত্র তাদের জন্য এই আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর বইটি একটি গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবেন।
আউটসোর্সিং : শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর বইটি থেকে যা যা শেখা যাবে
- আউটসোর্সিং কি, এই সেক্টরটি কিভাবে কাজ করে
- আউটসোর্সিং সেক্টরে কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়
- কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি এবং ইনকামও বেশি
- আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
- মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়
- মার্কেটপ্লেসে কিভাবে কাজ খুজতে হয় এবং কাজে আবেদন করতে হয়
- মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য ইন্টারভিউ কিভাবে নেয়
- টাকা কিভাবে উত্তোলন করে নিজের কাছে আনা যায়
- সহজে কাজ পাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এবং ট্রিক্স
- আউটসোর্সিং কাজের জন্য কোন ধরনের কম্পিউটার লাগে
এগুলো ছাড়াও সবশেষে লেখক নিজের ফ্রিলান্সার হয়ে উঠার গল্প শেয়ার করেছে যাতে নতুনরা এই গল্প পড়ে অনুপ্রাণিত হয়। অনেকে আছে যারা এই আউটসোর্সিং সেক্টরে এসে কাজ না পেয়ে চলে যায়। শুধুমাত্র তাদের জন্য এই উদ্যোগ। এই সেক্টরে সফল হওয়ার জন্য যে শুধুমাত্র স্কিল প্রয়োজন তা নয়, সাথে ধৈর্য, ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রম প্রয়োজন। তাহলেই এই সেক্টরে সফল হওয়া যাবে।
যাইহোক, এই ছিল আউটসোর্সিং সেক্টর নিয়ে পরিপূর্ণ একটি গাইডলাইন। আশা করি এখন আপনি বুঝতে পেরেছেন আউটসোর্সিং কি, এই সেক্টরে কাজ করে কিভাবে আয় করা যায়, কাজ কিভাবে শেখা যায় এবং সাথে যেই বইটি শেয়ার করেছি সেটা যদি আপনি কমপ্লিট করতে পারেন তাহলে এই সেক্টর নিয়ে আপনার আরো বিস্তারিত ধারনা হয়ে যাবে। তাই আর দেরি না করে আজই আউটসোর্সিং বইটি সংগ্রহ করে রাখুন। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে আপনার, তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।