কোনোরকম পুজি ছাড়া ৭টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
আপনি কি পুঁজি ছাড়া ব্যবসা করার কথা ভাবছেন? যেখানে কোনো ধরনের বিনিয়োগ থাকবে না। এটা কি আসলেই সম্ভব।পুঁজি ছাড়া আবার ব্যবসা কিভাবে হয়? হ্যাঁ এটা সম্ভব। আজকের এই পর্বে আমরা এমন ৭টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া দিবো আপনাকে যেগুলোর এক বা একাধিক সেক্টরে কাজ করে আপনি লাভবান হতে পারবেন। তবে যেহেতু এখানে পুঁজি বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না, তাই আপনাকে নিজের দক্ষতা, ধৈর্য এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে সফল হতে হবে।
৭টি টাকা ছাড়া লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
চলুন এখন আমরা এক এক করে সবগুলো লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। প্রথমেই আমরা জানবো ৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া যেগুলো করার জন্য কোনোরকম টাকার প্রয়োজন হবে না। কোনোরকম বিনিয়োগ ছাড়াই যেকেউ এই ব্যবসা শুরু করতে পারবে তবে এখানে আপনার স্কিলের প্রয়োজন হবে এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন হবে, শুধু টাকার প্রয়োজন হবে না।
অনলাইন ব্যবসা
অনলাইন ব্যবসা বলতে এখানে অনলাইনে স্কিলকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করাকে বোঝানো হয়েছে। যেমন, আপনি ফ্রিলান্সিং এর কথা শুনে থাকবেন। এখানে আপনার স্কিলকে সার্ভিস হিসেবে অন্যদের কাজে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে ব্লগিং বা ওয়েবসাইটে লেখালেখি করা, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েবসাইট তৈরি করা, এফিলিয়েট মার্কেটিং বা অনলাইনে কোনো কোম্পানির পণ্য প্রচার করে ইনকাম করা ইত্যাদি হাজারো ব্যবসা রয়েছে অনলাইনে করার মতো । এই ব্যবসাগুলো করার জন্য আপনার কোনো পুজি বা টাকা লাগবে না। যেকোনো একটি বিষয় শিখে সেটাতে পারদর্শী হয়ে আপনি এই অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে এটা করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে হয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ফ্রিলান্সিং করা যায়
- ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট কিভাবে ফ্রিতে শেখা যায়
- ওয়েবসাইট তৈরি করে কিভাবে ইনকাম করতে হয়
যাইহোক, যদি যেকোনো একটি স্কিল শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিলান্সিং সহ আরো অনেক হাজারো ব্যবসা আপনি অনলাইনে করতে পারবেন। অনলাইনে এই সেক্টরের অনেক চাহিদা।
রাইডশেয়ারিং ব্যবসা
বিনা পুজিতে অন্যতম একটি জনপ্রিয় লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে রাইডশেয়ারিং ব্যবসা। এখানে তেমন কোনো পুজি বা টাকা লাগে না। আপনার যদি একটি গাড়ি বা মোটরসাইকেল থাকে তাহলে আপনি এই রাইডশেয়ারিং ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। বর্তমানে এই রাইডশেয়ারিং ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য অতোটা ঝামেলা পোহাতে হয় না। নিজের একটি গাড়ি বা মোটরসাইকেল থাকলেই ব্যবসাটি শুরু করা যায়।
বাংলাদেশে অনেক রাইডশেয়ারিং কোম্পানি রয়েছে যেমন, সবথেকে হচ্ছে পাঠাও, এছাড়াও উবার, সহজ রাইডার ইত্যাদি নানান ধরনের কোম্পানি রয়েছে। আপনি তাদের অফিসিয়াল রেজিস্টার গ্রাহক হয়ে তাদের সাথে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
বর্তমানে অনলাইনে ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর। প্রায় প্রত্যেকটি কাজে একজন প্রফেশনাল ডিজাইনার প্রয়োজন হয়। যেমন, কোনো কোম্পানি শুরু হলে সেখানে লোগোর প্রয়োজন হয়, বিজনেস কার্ড, পণ্যের প্রচার করার জন্য ব্যানার, স্লাইডার, এছাড়াও যেকোনো ছবি কোথাও আপলোড করার পূর্বে সেই ছবিটি ডিজাইন করে নিতে হয়। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালো করে শিখতে পারেন তাহলে মাসে আপনার ইনকাম হবে ৫০০ ডলার থেকে ১০০০ ডলার পর্যন্ত।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মানে ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়ার কাজ। প্রতিটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি করে প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ জানেন তাহলে এই সেক্টরে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। প্রথমদিকে ফ্রিলান্সার হিসেবে কাজ করতে হয়। এরপর যখন অনেক অভিজ্ঞতা হয়ে যায় তখন একটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি তৈরি করা যেতে পারে।
পড়তে পারেনঃ
- একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয়
- ফ্রিলান্সিং কি? ফ্রিলান্সিং করে কিভাবে মাসে হাজার ডলার ইনকাম করা যায়
- অনলাইন থেকে ইনকাম করার জনপ্রিয় ১২টি অনলাইন জব
অনলাইন কোর্স
বিনা পুজিতে ব্যবসা করার আরেকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে অনলাইন কোর্স বিক্রি করা। আপনি যদি যেকোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে সেই বিষয়ে কোর্স তৈরি করে অন্যকে শিখাতে পারেন। অনেকে আছে যারা শিখতে চায় বা শেখার আগ্রহ আছে কিন্তু সঠিকভাবে শিখতে পারে না। আপনি একটি অনলাইনে ভিডিও কোর্স তৈরি করে তারপর সেই কোর্সটি বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক বা ইউটিউবের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
তবে অবশ্যই একটি কথা মাথায় রাখতে হবে, আপনি যেই বিষয়টা শেখাবেন বা অনলাইন কোর্স তৈরি করবেন, সেই বিষয়ে আপনার এক্সপার্ট হওয়া লাগবে এবং সাথে অন্যকে বুঝানোর ক্ষমতা থাকতে হবে।
ভার্চুয়াল সহকারি
ভার্চুয়াল সহকারি বলতে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে যারা কোনো কোম্পানির কাজে সহায়তা করে তাদেরকে বোঝায়। অনেকে আবার এটাকে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট বলে। কোম্পানির কিছু ছোটখাটো কাজ যেমন, এডমিন সাপোর্ট, ক্লাইন্টে মেইল করা, ইমেইলের রিপ্লাই দেয়া, কপিরাইটিং, কেপচা পুরন করা, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা ইত্যাদি। এই সকল কাজগুলো করার জন্য আপনার কোনো পুজি লাগবে না। আপনি নিজের ঘরে বসেই একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কাজ জানতে হবে।
ফিটনেস ট্রেইনিং ব্যবসা
টাকা ছাড়া ব্যবসা করার আরেকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে ফিটনেস ট্রেইনিং ব্যবসা। এটা শুরু করার জন্য আপনার কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না। আপনি যদি জিম লাভার হোন, বডিবিল্ডিং পছন্দ করেন তাহলে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে একজন ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে জয়েন দিতে পারেন। এছাড়াও পার্সোনাল ট্রেইনার হিসেবেও কাজ করতে পারেন।
তো এই ছিলো ৭টি টাকা ছাড়া বা বিনা পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া। এখান থেকে যেকোনো একটি বিষয়কে বাছাই করে আজই আপনার ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।