দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী ২০২১ । কিভাবে আবেদনপত্র লিখতে হয়?
আজকের এই পর্বে আলোচনা করা হবে দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানান কাজে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়। যেমন, কোথাও চাকরি করতে গেলে সেখানে চাকরির জন্য আবেদনপত্র লিখতে হয়, আবার চাকরি ছাড়ার জন্যও আবেদনপত্র লিখতে হয়। অন্যদিকে আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন সেখানেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে দরখাস্ত লেখার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ঠিকমতো দরখাস্ত লিখতে জানে না। দরখাস্ত লেখার সময় বিভিন্ন ভুল হয়ে থাকে। আর তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো কোনো প্রফেশনাল কাজের জন্য কিভাবে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লিখতে হয়।
তো চলুন শুরু করা যাক,
দরখাস্ত বা আবেদনপত্র লেখার অনেক নিয়ম রয়েছে। যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির জন্য যেই আবেদনপত্র লিখতে হয় সেই নিয়মে আবার চাকরির দরখাস্ত লেখা যাবে না। চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম একদম আলাদা। এই কারনেই আমি এখানে আজ কয়েকটি নিয়ম বা ফরমেট বা নমুনা বলে দিবো যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন চাকরির ক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা অন্য কোনো প্রফেশনাল কাজে। তাই চলুন জেনে নেই সঠিকভাবে দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী
প্রফেশনাল দরখাস্ত লেখার নিয়মাবলী
১। প্রাপকের তথ্যঃ প্রথমেই আপনাকে প্রাপকের নাম, ঠিকানা ইত্যাদি সবার উপরে লিখতে হবে। এখানে প্রাপক হবে আপনি যার বরাবর দরখাস্তটি আবেদন করেছেন তার নাম। প্রাপকের জায়গায় যার নাম দিবেন দরখাস্তটি তার কাছেই চলে যাবে। আর তাই প্রাপকের নাম দেয়ার সময় সাবধান থাকতে হবে। প্রাপকের নাম ভুল দেয়া যাবে না।
২। বিষয়ঃ প্রাপকের তথ্য ভালোভাবে দেয়ার পর এখন আপনাকে বিষয় লিখতে হবে। কি বিষয়ে আপনি এই দরখাস্তটি লিখতেছেন সেটা এখানে উল্লেখ করতে হবে। বিষয় লেখার সময় মনে রাখতে হবে “বিষয় যেন বেশি বড় না হয়”। খুব সংক্ষিপ্তভাবে বিষয়টা লিখতে হবে।
৩। সম্ভাষণ তথ্যঃ সম্ভাষণ তথ্য বলতে এখানে দরখাস্ত লেখার শুরুর করার সময় জনাব/জনাবা লিখতে হয় সেটা বুঝিয়েছে। অবশ্যই এই সম্ভাষণ তথ্য দিয়েই দরখাস্ত লেখার শুরু করতে হবে। যদি বাংলা দরখাস্ত হয় তাহলে জনাব/জনাবা লিখতে হবে আর যদি ইংলিশ হয় তাহলে Dear sir/madam লিখতে হবে।
৪। মূল বিষয়ঃ সম্ভাষণ তথ্য দেয়ার পর এখন মূল আবেদনপত্র লেখা শুরু করতে হবে। যেই বিষয়ে আবেদনপত্র বা দরখাস্ত লেখা হবে সেই বিষয়টা খুব সংক্ষিপ্ত আকারে ও গুছিয়ে সুন্দর করে বর্ণনা করতে হবে। যেমন, যদি ছুটির জন্য আবেদনপত্র লেখা হয় তাহলে সেখানে ছুটির কারণ, কবে থেকে ছুটি প্রয়োজন, কবে ছুটি শেষ হবে ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
৫। প্রেরকের তথ্যঃ মুল বিষয় সংক্ষিপ্ত আকারে লেখার পর এখন বিনীত বা ইতি দিয়ে শেষ করতে হবে দরখাস্ত লেখা। এরপর এখন আবেদরপত্র এর ডান দিকে একদম নিচে প্রেরকের বা আবেদরকারির নাম এবং ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। এবং প্রতিটা লেখার লাইন যেন দুইদিকে সমান্তরাল হয় এটা খেয়াল রাখতে হবে তাহলে দেখতে সুন্দর লাগবে।
৬। তারিখ এবং প্রেরকের স্বাক্ষরঃ সবশেষে প্রেরকের বা আবেদনকারীর স্বাক্ষর সহ যেই তারিখে দরখাস্তটি জমা দিবেন সেই তারিখটি দিতে হবে। এটাও একদম নিচে ডান দিকে দিতে হবে এবং উপরের বিষয়গুলোর সাথে সমান্তরাল রাখতে হবে।
এখন চলুন আপনাকে কিছু জনপ্রিয় দরখাস্তের নমুনা দেখিয়ে দেই যেগুলো আপনি আপনার প্রফেশনাল কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন ফর্ম
এই আবেদন ফরম টি সরকারি বা বেসরকারি চাকরির ছুটির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। সাথে নিজের মতো করে এডিট করার জন্য পিডিএফ ফাইলটি দেয়া হলো। সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।
আরো পড়তে পারেনঃ
- লেখাপড়ার পাশাপাশি আয় করার ১২টি জনপ্রিয় অনলাইন জব
- ফ্রিলান্সিং করে কিভাবে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায়
- ফ্রিতে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট শিখে ক্যারিয়ার গড়ুন
চাকরির আবেদন ফরম
যেকোনো প্রাইভেট বা সরকারি চাকরীর জন্য এই আবেদনপত্রটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আর তাই আপনাদের সুবিধার্থে এটার পিডিএফ ফাইল এবং ডক ফাইল দেয়া হলো। ডাউনলোড করে রাখতে পারেন।
এছাড়াও চাকরি, অর্থ ও ব্যাংক, পুরস্কার প্রাপ্তির আবেদন, ভূমি সংক্রান্ত, লাইসেন্স সংক্রান্ত, শিক্ষা সংক্রান্ত, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত, অভিযোগ ও পরামর্শ, নিবন্ধন, পরিবহন ও যোগাযোগ, আইন শৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয়ে আবেদনপত্র লেখার জন্য আপনি এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। এখানে প্রায় সব ধরনের ক্যাটাগরির আবেদনপত্র বা দরখাস্তের নমুনা পিডিএফ সহকারে পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।