আধুনিক ইতিহাসের জনক কে ছিলেন
আপনি কি জানেন ইতিহাসের জনক কে ছিলেন? আধুনিক ইতিহাসের পাতায় কার অবদান ছিলো? না জানলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য।কারন আজকের এই পর্বে আমরা আধুনিক ইতিহাস সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো।
আজকের এই পর্ব থেকে আপনি জানতে পারবেন ইতিহাসের জনক কে, আধুনিক ইতিহাসের জনক কে ছিলেন, ইসলামের ইতিহাসের জনক কে, বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক কে, বাংলাদেশের ইতিহাসের জনক কে, ভারতীয় ইতিহাসের জনক কে, ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস কোন দেশের নাগরিক, ইতিহাসের জনক বলা হয় কাকে, ইতিহাসের জনক নামে কে পরিচিত, ইতিহাসের সবথেকে উল্লেখযোগ্য উক্তিটি কী ইত্যাদি।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক,
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষায় আধুনিক ইতিহাস নিয়ে নানান ধরনের প্রশ্ন আসে। তাই আজকের এই পর্বে ইতিহাস নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ইতিহাসের জনক কে
প্রথমেই আমরা জানবো ইতিহাসের জনক কে বা ইতিহাসের জনক বলা হয় কাকে।
সাধারণভাবে ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস।তিনিই প্রথম ইতিহাস ও অনুসন্ধান—এ দুটি ধারণাকে সংযুক্ত করেন। তাই হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বা “The Father of History” বলা হয়।
গ্রিক শব্দ ‘হিস্টোরিয়া’ থেকে ইংরেজি হিস্টিরি (ইতিহাস) শব্দটির উৎপত্তি।আর এই হিস্টিরি শব্দটি সর্বপ্রথম হেরোডোটাসই ব্যবহার করেন।
হেরোডোটাস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৪-৪২৫)। তিনি পারস্য সাম্রাজ্যে (বর্তমান তুরস্ক) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসবিদ।
যাইহোক, তার সম্পর্কে যদি আরো জানতে চান তাহলে উইকিপিডিয়া থেকে জেনে নিতে পারেন।
ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস কোন দেশের নাগরিক
এখন চলুন জেনে নেই ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস কোন দেশের নাগরিক?
ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক দেশের নাগরিক। তিনি পারসিয়ান সম্রাজ্যের হেলির্কানাসাস এ জন্মগ্রহণ করেন যাকে বর্তমানে আধুনিক তুর্কি বলা হয়।
আধুনিক ইতিহাসের জনক কে ছিলেন
সাধারণভাবে হেরোডোটাস ইতিহাসের জনক নামে পরিচিত। তবে আধুনিক ইতিহাসের জনক তিনি নন।
আধুনিক ইতিহাসের জনক হলো জার্মান ঐতিহাসিক লিওোপল্ড ফন রাংকে ( Leopold von Ranke )।
ঐতিহাসিক লিওোপল্ড ফন রাংকে এর মতে,
“প্রকৃতপক্ষে যা ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও তার সত্য বিবরণই ইতিহাস। ইতিহাস হচ্ছে মানব সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক ও সত্যনিষ্ঠ বিবরণ। সঠিক ইতিহাস সবসময় সত্যকে নির্ভর করে রচিত”
লিওোপল্ড ফন রাংকের জন্ম ২১ ডিসেম্বর ১৭৯৫ সালে এবং মৃত্যু ২3 মে 1886 সালে।
আধুনিক ইতিহাসের জনক জার্মান ঐতিহাসিক লিওোপল্ড ফন রাংকে ছিলেন জার্মান নাগরিক। রোমান পোপেসি ইতিহাস এবং আধুনিক ঐতিহাসিকদের সমালোচনার মত বই রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
- ৫টি সেরা মোটিভেশনাল বই PDF free download
- ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস বই PDF free download
- প্রতি মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পিডিএফ ডাউনলোড করে নিন
- ওয়েব ডিজাইন শেখার বই পিডিএফ ফ্রি ডাউনলোড
- গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার বই পিডিএফ ফ্রি ডাউনলোড
ইসলামের ইতিহাসের জনক কে
আধুনিক ইতিহাসের জনক কে এটা তো জেনে গেলাম। এখন চলুন জেনে নেই ইসলামের ইতিহাসের জনক কে?
ইসলামের ইতিহাসের জনক আল মাসুদি।তার পুরো নাম আবু আল হাসান আলী ইবনে আল হুসাইন ইবনে আলী আল, মাসুদি যিনি সংক্ষেপে আল মাসুদি নামে পরিচিত।
আল মাসুদি জন্মগ্রহন করেন ৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদ শহরে। আর মৃত্যুবরন করেন সেপ্টেম্বর মাসের ৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে মিশরের কায়রো শহরে। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম ইতিহাসবিদ এবং ভূগোলবিদ।
বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক কে
সাধারণভাবে লিওোপল্ড ফন রাংকে আধুনিক ইতিহাসের জনক নামে পরিচিত। তবে বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক তিনি নন।
বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক হলেন থুকিডাইডিস। কারন, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ, ও দেবতাদের হস্তক্ষেপ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের কারণ এবং প্রভাকে কোন প্রকার উৎস ব্যতীত বিশ্লেষণ করাই ছিল তার প্রধান কাজ।
আর এই কারনেই থুসিডাইডিসকে বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক বলে আক্ষায়িত করা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসের জনক কে
এখন চলুন জেনে নেই বাংলাদেশের ইতিহাসের জনক কে বা বাংলা সাহিত্যের জনক কে?
পাল রাজবংশকে বাংলা সাহিত্যের জনক বলে মনে করা হয়। কারন, পাল সম্রাটগণ সংস্কৃত বা পালি ভাষার পরিবর্তে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করেন।
পাল রাজাদের সময়ই বাংলা সাহিত্যের প্রাচীণতম নিদর্শন চর্যাপদসমূহ রচিত হয়।পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা গোপাল।
ভারতীয় ইতিহাসের জনক কে
মেগাস্থিনিসকে ভারতীয় ইতিহাসের জনক বলে মনে করা হয়।
কারন, তিনি প্রাচীন গ্রীসের একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ হলেও পরবর্তীতে ভারত সফর করে সিরিয়ার রাজা সেলিয়াকাস ১-এর রাজকীয় দূত হিসেবে ভারতীয় রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজদরবারে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও যখন তিনি ভারত সফর করেন তখন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেন। এর পরিপেক্ষিতে সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি পরবর্তীতে একটি বই প্রকাশ করেন। যেটার নাম রাখেন “মেগাস্থিনিস ইন্ডিকা”।
এই কারনেই, মেগাস্থিনিসকে ভারতীয় ইতিহাসের জনক বলা হয়।
ইতিহাসের সবথেকে উল্লেখযোগ্য উক্তিটি কী
সবশেষে এখন চলুন জেনে নেই, ইতিহাসের সবথেকে উল্লেখযোগ্য উক্তিটি কী?
অনেক উক্তি রয়েছে ইতিহাসে তবে এখানে সব উক্তি উল্লেখ করবো না।উল্লেখযোগ্য কিছু উক্তি শেয়ার করা হবে যেগুলো ইতিহাসের মহান মহান ব্যক্তি বলেছেন।
জার্মান রাজনীতিবিদ আডলফ হিটলার বলেছেনঃ
“যদি কোন মিথ্যাকে তুমি বারবার এবং সাবলীলভাবে বলতে পারো তবেই তা বিশ্বাসযোগ্য হবে”
বিজয়ী মুহাম্মাদ নামে পরিচিত সুলতান মেহমেদ বিজেতা বলেছেনঃ
“হয় আমি তোমাকে পরাজিত করবো অথবা তুমি আমাকে জয় করে নিবে”
ইতিহাসের অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি চেংগিশ খান বলেছেনঃ
“আমি সৃষ্টিকর্তার গজব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছি। যদি তোমরা কোন মহাপাপ কাজ না করতে তবে তিনি কখনোই আমার মত নিষ্ঠুরকে তোমাদের নিকট পাঠাতেন না”
ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী বলেছেনঃ
”আপনি নিজে সেই পরিবর্তন হোন যা আপনি সারা বিশ্বে সবার মধ্যে দেখতে চান”
তো এই ছিলো, ইতিহাসের কিছু মহান ব্যক্তিদের উল্লেখ্যযোগ্য উক্তি।
আশা করছি এখন আপনি জানতে পেরেছেন ইতিহাসের জনক কে, আধুনিক ইতিহাসের জনক কে ছিলেন, ইসলামের ইতিহাসের জনক কে, বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক কে ছিলেন।
এছাড়াও বাংলাদেশের ইতিহাসের জনক কে, ভারতীয় ইতিহাসের জনক কে, ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস কোন দেশের নাগরিক, ইতিহাসের জনক বলা হয় কাকে, ইতিহাসের জনক নামে কে পরিচিত, ইতিহাসের সবথেকে উল্লেখযোগ্য উক্তিটি কী ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন।
যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।