কম পুঁজিতে ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
আপনি কি কম পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুজতেছেন তাহলে আজকের এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বে আমরা কম পুঁজিতে ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো যেখানে ছোট, বড়, মাঝারি সহ প্রায় ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া থাকবে। তাই আপনি যদি কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া পেতে চান তাহলে এই পর্বটি আপনার অবশ্যই দেখা উচিত। বলা তো যায়না কোন ব্যবসার আইডিয়াটা আপনার জন্য একদম পারফেক্ট হয়। তাই চলুন শুরু করা যাক,
২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে এমন কিছু ব্যবসা আইডিয়া থাকবে যেগুলো করতে পারলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন এবং সাথে এক টাকাও বিনিয়োগ করা লাগবে না। শুধু প্রয়োজন আপনার ধৈর্য, স্কিল এবং পরিশ্রম। আবার কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো করার জন্য আপনার টাকা, পরিশ্রম, ধৈর্য সবই লাগবে। প্রথমেই আমরা এক নজরে দেখে নেই ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া যেগুলো আমরা আলোচনা করবোঃ
- বেকারির ব্যবসা
- খাবার ডেলিভারি ব্যবসা
- কাচা বাজারের ব্যবসা
- টিশার্ট ব্যবসা
- ইকমার্স ব্যবসা
- ফটোগ্রাফি ব্যবসা
- কাপড়ের ব্যবসা
- গার্মেন্টস ব্যবসা
- মুদির দোকান ব্যবসা
- খাবার হোটেল ব্যবসা
- খেলনার দোকান ব্যবসা
- ফার্নিচার ব্যবসা
- পুরাতন বইয়ের ব্যবসা
- মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা
- শেয়ার মার্কেট ব্যবসা
- কম্পিউটার দোকান ব্যবসা
- ইন্টারনেট বা সাইভার ক্যাফে ব্যবসা
- জুতার দোকান ব্যবসা
- হাঁস, মুরগি খামার ব্যবসা
- সবজি চাষ ব্যবসা
- ফলের জুসের দোকান ব্যবসা
- ডিলারশিপ ব্যবসা
- ফ্লাট ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
- জমি ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
- ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা
উপরোক্ত ব্যবসার আইডিয়াগুলো সবই লাভজনক। তাই যেকোনো একটি বা দুইটি যেটা আপনার ভালো লাগে বা আপনি করতে পারবেন এমন ইচ্ছাশক্তি আছে, তাহলে আজই সেই ব্যবসাটি শুরু করে দিন। তবে যেই ব্যবসাই করেন না কেন, সেখানে অবশ্যই নিজের পরিশ্রম দিলেই একমাত্র লাভের মুখ দেখতে পাবেন।
কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া
এখন আমরা এমন কিছু ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে কথা বলবো যেগুলো করার জন্য আপনার পুজি বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। তবে যেহেতু এখানে বেশি বিনিয়োগ তাই লাভের পরিমানও বেশি।
টিশার্ট ব্যবসা
বর্তমানে যতগুলো লাভজনক ব্যবসা আছে তার মধ্যে টিশার্ট ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়। এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যারা টিশার্ট পরিধান করে না বা পছন্দ করে না। তাই এই টিশার্ট ব্যবসা অনলাইন এবং অফলাইন দুই জায়গায় অনেক চাহিদা। টিশার্ট ব্যবসা করার জন্য আপনার পুজি লাগবে। যেমন, টিশার্ট তৈরির কাপড়, টিশার্ট ডিজাইন, কর্মচারীদের মজুরি, প্রচারনা খরচ ইত্যাদি। এই সকল কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার টাকা বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। তবে যদি আপনি ভালো পরিমান টিশার্ট বিক্রি করতে পারেন তাহলে অনেক লাভবান হবেন।
বেকারির ব্যবসা
পাড়া বা মহল্লায় এই বেকারির ব্যবসা অনেক জনপ্রিয়। সেখানেই এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বেকারির বিভিন্ন আইটেম রয়েছে যেমন, বিস্কুট, কেক, রুটি ইত্যাদি। এই সকল খাবার আপনি পাড়া বা মহল্লার দোকানগুলোতে সরবরাহ করতে পারেন। বেকারির আইটেমগুলো আপনি নিজে বানাতে পারেন অথবা কোম্পানির ডিলার হয়েও এই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।
কাপড়ের ব্যবসা
পুজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করার আরো একটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে কাপড়ের ব্যবসা। এই ব্যবসায়ে লাভ প্রচুর এবং শুরুর দিকে পুজিও অনেক কম লাগে।
রাজধানীর বাবুরহাট কাপড়ের বাজার বা গুলিস্তান থেকে কম টাকায় কাপড় কিনে এনে সেগুলো পাড়া বা মহল্লায় ভালো দামে বিক্রি করা যেতে পারে অথবা নিজের একটি দোকান নিয়ে সেখানে সেই কাপড়গুলো কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে। এছাড়াও কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ডিলারশিপ নিয়ে অথবা গার্মেন্টস থেকে কম দামে কাপড় কিনে বেশি দামে বিক্রি করা যেতে পারে।
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা
তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির কারনে এখন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ঘরে ঘরে এখন সবাই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করছে। আর তার এই পরিপেক্ষিতে বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আপনার যদি মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে ধারনা থাকে তাহলে আপনি বিকাশ বা নগদ অথবা রকেটের একজন এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন। টাকা তুলা, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, বিল পেমেন্ট ইত্যাদি কাজ করার জন্য আজই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। এখানে পুজি কম, লাভ বেশি।
গার্মেন্টস ব্যবসা
গার্মেন্টস ব্যবসা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র আকারের। আপনার যদি পুজি অনেক বেশি থাকে তাহলে বৃহৎ বা মাঝারি আকারের গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর যদি পুজি বেশি না থাকে তাহলে ক্ষুদ্র আকারের গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করাই উত্তম।
প্রথমে কিছু বায়ারকে ধরে তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় বানাতে হবে। এরপর সেই কাপড়ের একটি দাম নির্ধারণ করে ডেলিভারি দিতে হবে। তবে এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যদি আপনার প্রোডাক্টের মান ভালো থাকে তাহলে বেশি অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খাবার ডেলিভারি ব্যবসা
খাবার ডেলিভারি বা কুরিয়ার করার ব্যবসাটা আজকাল অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন যেকোনো খাবারের হোটেল বলেন আর রেস্টুরেন্ট প্রায় সবারই গ্রাহকদের খাবার হোম ডেলিভারি দেয়ার ব্যবস্তা রয়েছে। তাই আপনি এক ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
পাড়া বা মহল্লায় খাবার ডেলিভারি দেয়া যেতে পারে। এছাড়াও এখন অনলাইনে অনেকে খাবার অর্ডার করে থাকে। আর প্রতিষ্ঠানগুলো সেই অর্ডার করা খাবার হোম ডেলিভারি করার জন্য লোক নিয়োগ করে। তাই আপনি এই খাবার ডেলিভারি ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
কাচা বাজারের ব্যবসা
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের খাবারের জন্য শাক সবজি ক্রয় করতে হয়। আর তাই এই ব্যবসার চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। কৃষকদের কাছ থেকে প্রাইকারি দামে কিনে সেগুলো বাজারে খুচরা দামে বিক্রি করা যেতে পারে। এছাড়াও আপনি নিজেই বিভিন্ন শাক সবজির চাষ করে সেগুলো কাচা বাজারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। মহল্লায় এই কাচা বাজারের ব্যবসাটি অনেক বেশি চলে।
ইকমার্স ব্যবসা
আধুনিক যুগে ইকমার্স ব্যবসাটি অনেক বেশি প্রচলিত হয়ে উঠেছে। আপনার যদি নিজের কোনো পণ্য থাকে বিক্রি করার মতো তাহলে আপনি একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে প্রোডাক্টগুলো কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও এখন ফেসবুকের মাধ্যমেও পণ্য বিক্রি করা যায়। কিভাবে একটি প্রফেশনাল ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় সেটা নিয়ে একটি কমপ্লিট পর্ব পাব্লিশ করা হয়েছে। আপনি সেটা দেখে নিতে পারেন।
ফটোগ্রাফি ব্যবসা
আপনি যদি ফটোগ্রাফি ভালো পারেন তাহলে ফটোগ্রাফি ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে পারেন। নিজের একটি ক্যামেরা থাকলেই এই ব্যবসাটি আপনি করতে পারবেন। একটি ফটোগ্রাফির দোকান দিতে পারেন এবং সেখানে মানুষের ছবি তুলে দিতে পারেন। প্রায় প্রতিটি কাজেই আমাদের ছবির প্রয়োজন হয়। পাসপোর্ট সাইজ ছবি ছাড়া আমাদের কোনো কাজই হয় না। তাই বর্তমানে এই ফটোগ্রাফি ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয় এবং সাথে লাভজনক একটি ব্যবসা।
মুদির দোকান ব্যবসা
দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন মুদির পণ্য আমাদের প্রয়োজন হয়। আর এই কারনেই মুদির ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিটি পাড়া বা মহল্লায় একাধিক মুদির দোকান রয়েছে যেখানে মানুষের নিত্যদিনের জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়। মুদির প্রতিটি পণ্যেই কম বেশি লাভ থাকে। তাই আপনি এই মুদির দোকান ব্যবসাটি করতে পারেন। বাঁজারে না দিয়ে যদি মার্কেটে দেয়া যেতে পারে তাহলে লাভের পরিমান বেশি হয়। কারন তখন অনেক কাস্টমার খুচরার সাথে প্রাইকারি দামেও অনেক জিনিসপত্র একসাথে ক্রয় করবে
খাবার হোটেল ব্যবসা
বর্তমানে খাবার হোটেলের ব্যবসাটিরও অনেক চাহিদা। পজিশন বুঝে যদি খাবার হোটেল দেয়া যেতে পারে তাহলে এই খাবার হোটেলের ব্যবসা থেকে অনেক লাভ করা যাবে। এছাড়াও যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে খাবার হোটেল দেয়া যেতে পারে। যেমন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে, কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সাথে বা কোনো বড় মার্কেটে। খাবারের স্বাদ যদি ভালো হয় তাহলে সেই হোটেলে কাস্টমার বেশি যায়। তাই অবশ্যই খাবারের মানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সবসময়।
খেলনার দোকান ব্যবসা
বাচ্চারা খেলনা বেশি পছন্দ করে। আর সেটাকে পুজি করে একটি খেলনার দোকান দেয়া যেতে পারে। বাচ্চাদের জন্য ছোটবড় প্রায় সব ধরনের খেলনা দোকানে রাখতে হবে। তাহলে বেচা কেনা বেশি হবে। এই ব্যবসাটিও জায়গার উপর নির্ভর করে। যেমন, আপনি যদি এমন এক জায়গায় খেলনার দোকান দেন যেখানে আপনারটা ছাড়া আর কোনো দোকান নেই তাহলে সবথেকে বেশি বেচা কেনা হবে আপনার দোকানে। আর এতে লাভও বেশি হবে।
ফার্নিচার ব্যবসা
বর্তমানে সবথেকে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হচ্ছে ফার্নিচার ব্যবসা। আসবাপত্রের চাহিদা অনেক আগে থেকেই রয়ে আছে। প্রায় সবাই চায় নিজের ঘরকে সুন্দর সুন্দর আসবাপত্র দিয়ে সাজিয়ে রাখা। তাই এটার কথা বিবেচনা করে বর্তমানে এই ফার্নিচারের ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভালো ডিজাইনের ফার্নিচারের দামও অনেক বেশি হয়। তাই আপনি কম বেশি কিছু পুজি নিয়ে এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
পুরাতন বইয়ের ব্যবসা
প্রতি বছরেই অনেক নতুন নতুন বই ছাপা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য, চাকরির পরিক্ষার জন্য, বিসিএস বা বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্ষার জন্য অনেক বই পাব্লিশ করা হয়। দেখা যায়, বছর শেষে সেই বইগুলো সব পুরাতন হয়ে যায়। অনেকে ফেলে দেয় আবার অনেকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। আর তাই আপনি সেই পুরাতন বইগুলো সংগ্রহ করে বা মানুষের কাজ থেকে প্রাইকারি দামে ক্রয় করে সেগুলো খুচরা দামে বিক্রি করতে পারেন। আজকাল পুরাতন বইয়ের ব্যবসাটি অনেক লাভজনক।
শেয়ার মার্কেট ব্যবসা
শেয়ার মার্কেট একটি বিনিয়োগের জায়গা। আপনার যদি বিনিয়োগে আগ্রহ থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি আপনি করতে পারেন। শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগে ঝুকি বেশি । আর যেহেতু ঝুকি বেশি তাই লাভও অনেক বেশি। অনেকেই এই শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে কোটিপতি হয়ে গেছে আবার অন্যদিকে অনেকে রাস্তার ফকির হয়ে গেছে। তাই বুঝে শুনে এই শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করতে হবে।
কম্পিউটার দোকান ব্যবসা
আপনি যদি কম্পিউটার সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখেন তাহলে কম্পিউটার দোকান ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। কম্পিউটারের দোকানে যেই যেই কাজগুলো আপনি করতে পারেন যেমন, ফটোকপি করা, ছবি কোনো কিছু প্রিন্ট করা, অনলাইনে চাকরীর আবেদন করা, মেমরিতে অডিও, ভিডিও গান লোড করার মতো অনেক কাজ আপনি কম্পিউটারের দোকানে করতে পারেন। শুধুমাত্র একটি ভালমানের কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
ইন্টারনেট বা সাইভার ক্যাফে ব্যবসা
ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে আপনি সাইভার ক্যাফে ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন। এমন অনেকেই আছে যাদের বাসায় ইন্টারনেট চালানোর মতো সুযোগ নেই, আবার অনেকের মোবাইলে ইন্টারনেট চালু করা যায় না। আর এই কারনে আপনি তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যমে সাইভার ক্যাফে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন।
একটি সাইভার ক্যাফে ঘণ্টা প্রতি চার্জ করা যেতে পারে। যতক্ষণ ইন্টারনেট ব্যবহার করা হবে ততক্ষণ টাকা চার্জ করা হবে। গ্রামাঞ্চলে এই ইন্টারনেট ব্যবসাটি অনেক বেশি চলে কারন সেখানে ইন্টারনেটের অনেক ঘাটতি থাকে।
জুতার দোকান ব্যবসা
প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ জুতো ব্যবহার করে। প্রতি ঈদেই নতুন কাপড়ের সাথে অনেকে জুতো ক্রয় করে। তাই এই ব্যবসাটি অনেক বেশি প্রচলিত। একটু বেশি পুজি নিয়ে গুলিস্তান থেকে ছোট বড় সব বয়সীদের জন্য জুতো প্রাইকারি ক্রয় করে সেগুলো লোকাল মার্কেটে খুচরা দামে বিক্রি করা যেতে পারে।
হাঁস, মুরগি খামার ব্যবসা
গ্রামাঞ্চলে হাঁস-মুরগির খামারের ব্যবসা বেশি চলে। বৃহৎ একটি এরিয়া নিয়ে অথবা জায়গা ভাড়া করেও এই খামারের ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। মুরগি এবং হাঁস একসাথে পালন করা যাবে না। হাঁস পানিতে আর মুরগি খামারে পালন করতে হবে। এটা শুরু করার জন্য কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
সবজি চাষ ব্যবসা
সবজি চাষ ব্যবসাটিও অনেক বেশি লাভজনক। নিজের ক্ষেতে সব ধরনের সবজি চাষ করে সেগুলো বাঁজারে খুচরা বা প্রাইকারি দামে বিক্রি করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই সবজি চাষের উপর আপনার ধারনা থাকতে হবে। কোন বীজ দিলে ভালো হবে, সবজিতে বিভিন্ন ধরনের পোকা নিধন কিভাবে করা যায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। তাহলে মাস শেষে ভালো ফলন আশা করা যাবে।
ফলের জুসের ব্যবসা
গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত গরমে সবাই ফলের জুস খেতে পছন্দ করে। তাই এই ফলের জুসের ব্যবসা গ্রীষ্মকালে বেশি চলে। আবার এখানে পুজির পরিমাণও অনেক কম। কিছু ফল, সাথে একটি ব্লেন্ডার ( ফলের জুস বানানোর মেশিন ) থাকলেই যেকেউ এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারে।
ডিলারশিপ ব্যবসা
ডিলারশিপ ব্যবসা বলতে বোঝায় কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করা। প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট একজন ডিলার হিসেবে বিক্রি করে দেয়া। যেমন, বিকাশ কোম্পানি তাদের সার্ভিস মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকায় এজেন্ট রাখে। ঠিক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য প্রতিটা এরিয়ায় একজন প্রতিনিধি রাখে যারা চুক্তির মাধ্যমে তাদের সেই প্রোডাক্টগুলো কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করে থাকে। এই ব্যবসায়ে কম পুজিতে বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফ্লাট ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
ফ্লাট ক্রয় বিক্রয় ব্যবসাকে অনেকে আবার রিয়েল স্টেট ব্যবসা বলে থাকে। বর্তমানে শহরাঞ্চলে এই ফ্লাট ক্রয় বিক্রয়ের বিজনেসটা বেশি চলে। প্রতিটি ফ্লাট এককালীন বুকিং দিয়ে সেখানে প্রতি মাসে কিস্তি পরিশোদ করতে হয়। তাই আপনার যদি এই সম্পর্কে ধারনা থাকে তাহলে এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
জমি ক্রয় বিক্রয় ব্যবসা
বর্তমানে জমির দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক সময় ছিলো যখন জমির দাম পানির মতো ছিল, আর এখন তার উল্টোটা। এলাকা, রাস্তা, এবং পজিশন ভেদে জায়গার দাম কম বেশি হয়। পজিশনের উপর ভিত্তি করে আপনি জমিতে বিনিয়োগ করতে পারেন, পরবর্তীতে জমির দাম বাড়লে তখন নিজে সেখানে ঘর তুলে ভাড়া দিতে পারবেন অথবা জমি ভালো দামে বিক্রিও করে দিতে পারবেন।
ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা
নিজের যদি একটি গাড়ি থাকে তাহলে আপনি ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নিজের গাড়িটি ভাড়া দিয়ে রাখতে পারেন। অথবা বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে তাদের প্রোডাক্ট আনা নেওয়া করতে পারেন। যেহেতু গাড়িটি আপনার নিজস্ব তাই এই ব্যবসায়ে লাভের পরিমান বেশি হয়ে থাকে।
তো এই ছিলো, জনপ্রিয় ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া যেগুলো করার জন্য আপনার বেশি পুজি লাগবে না। কম পুজিতেই আপনি এই সকল ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। আশা করছি এখন আপনি নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোন ব্যবসাটি আপনার জন্য পারফেক্ট। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন, আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।
এছাড়াও আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস, ইউটিউবিং, টেকনোলজি বিভিন্ন টিপ্স এন্ড ট্রিক্স, ডিজিটাল স্কিল শিখতে চান তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেল আজই সাবস্ক্রাইব করে ফেলুন। কারন আমি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল স্কিল বিষয়ক টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে যাচ্ছি আমার চ্যানেলে।